কেবল গাজীপুরের নির্বাচন নয়, জাহাঙ্গীর ডুবিয়ে দিয়েছে হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে!
হাসিনা খুব জোর গলায় প্রতিদিন বলছে,”আমার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমি ভোট চুরি করবো না।”
কিন্তু গাজীপুরের নির্বাচনে তিনি কি করলেন? উপজেলার নির্বাচিত ভাইস
চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে মেয়র প্রার্থী হলেন জনপ্রিয় নেতা জাহাঙ্গীর
আলম। আম্লীগ তাকে দলীয়ভাবে নমিনেশন দেয়নি। তাই তিনি হলেন বিদ্রোহী
প্রার্থী। জাহাঙ্গীরের নমিনেশন অবৈধভাবে বাতিল করে দেয়া হলো সরকারী ক্ষমতা
ব্যবহার করে। কোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেও ছাত্রলীগের গুন্ডা
লিয়াকত সিকদার গাজীপুর থেকে জাহাঙ্গীরকে অপহরন করে হাজির করে
প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এরপরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ঘোষণা করে- জাহাঙ্গীর
প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছে। ছয় দিন গুম করে রাখলো সরকার। জাহাঙ্গীরের
পরিবার নিরাপত্তাহীন- মা শয্যাশায়ী! বিএনপির মহাসচিব যখন প্রশ্ন করেন
জাহাঙ্গীর গুম কি না? চাপে পড়ে সরকার হাজির করে জাহাঙ্গীরকে!
মুক্তির শর্ত মোতাবেক জাহাঙ্গীর কেঁদে কেটে ৩৫ মিনিটব্যাপী বক্তব্যে
ভোটারদেরকে বলেন, তিনি নির্বাচন করবেন না....বিদেশে চলে যাবেন। এথেকে
পরিস্কার হলো, সামনে এই রকম ঘটনা আরো ঘটাবে হাসিনা। নতুন সিষ্টেম। পিছনে
বন্দুক রেখে জীবনের ভয় দিয়ে সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে সমর্খন জানানো!!
বেশ বেশ...এই না ক্ষমতা!
আমরা কি পেলাম? হাসিনা বলেছেন, তিনি ভোট
চুরি করবেন না। মানুষ বিশ্বাস করবে ক্যামতে? তবে এখন বোঝা গেলো ক্ষমতায়
থেকে তিনি আগামী নির্বচনে কি করবেন! তিনি ভোট চুরি করবেন না। কারন ভোটেরই
দরকার নাই। জাহাঙ্গীর কায়দায় তিনি বিরোধী দলের প্রার্থীকে শক্তি দিয়ে
গুম করবেন। কাউকে নির্বাচনে দাড়াতেই দিবেন না।
জাহাঙ্গীর। তুমি
বিদেশে চলে গিয়ে জীবন বাঁচাও। তোমাকে ধন্যবাদ। কারন, তুমি হাসিনাকে জাতির
সামনে ধরিয়ে দিলে - সে হলো প্রার্থী ক্যান্ডিডেট ছিনতাইকারী, গুমকারী।
No comments:
Post a Comment