Sunday, June 30, 2013
রেশমা উদ্ধার অভিযান একটি মিথ্যা গুজবঃ ব্রিটিশ পত্রিকা মিরর নিউজ–‘রেশমা’ রহস্যের নতুন মোড়
রানা প্লাজায় ১৭ দিন পর উদ্ধার হওয়া রেশমা নিয়ে বলতে গেলে ‘বোমা’ ফাটিয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা মিরর নিউজ।
তাদের অনুসন্ধানে বলা হয়েছে রেশমা উদ্ধার অভিযানকে মনে হচ্ছে একটি মিথ্যা
গুজব। রেশমার এক সহকর্মী মিরর নিউজ এর কাছে দাবি করেছেন যে গত এপ্রিলে
রানা প্লাজা ধসে পড়ার দিনই রেশমা তার সাথে বেরিয়ে আসেন।
সারা বিশ্বের বহু মানুষ ১২ শ’র বেশি লোক নিহত হওয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে ১৭ দিন পর রেশমাকে উদ্ধারের ছবি দেখে বিস্মিত হয়েছিলো।
তবে, রেশমা উদ্ধার অভিযান হয়তো শেষ পর্যন্ত ধোঁকা বলেই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে, এমন মন্তব্য করা হয়েছে মিরর নিউজ এর প্রতিবেদনে।
রেশমার বেঁচে যাওয়া এই সহকর্মী আরো বলেছেন যে, তিনি আর রেশমা একসাথে
তৃতীয় তলায় কাজ করতেন। তিনি আরো বলেন, আমরা একসাথেই ধ্বংসস্তুপের ভিতর
পড়ে যাই। তবে দু’জনেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই। আমরা দুই দিন
হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। আর তখনই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে ১৭তম দিনে
ধ্বংসস্তুপ থেকে তাকে টিভিতে উদ্ধার করতে দেখি। উদ্ধারকর্মীরা বলছে এটি
অলৌকিক, আসলে এটি মিথ্যা- ধোঁকা।”
মিরর নিউজ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদক সরকার ও বিরোধী পক্ষের সাথে কথা বলার
জন্য বাংলাদেশে এসেছিলো। বিরোধী পক্ষের দাবি, এই উদ্ধার নাটক আসলে সরকারের
তৈরি করা। এটি তারা করেছে রানা প্লাজা ধসের মাধ্যমে বছরে এক বিলিয়ন আয়ের
খাত গার্মেন্টস সেক্টর যে আশঙ্কার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে, তা থেকে মানুষের
মনোযোগ সরিয়ে দেয়ার জন্য।
মিরর নিউজ দাবি করেছে যে তাদের কাছে রেশমার সহকর্মীর কথার ধারণকৃত প্রমাণ রয়েছে। তবে ওই সহকর্মী প্রতিহিংসার ভয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
ওই সহকর্মীর নাটকীয় গুজবের অভিযোগটি ঢাকার ভিন্নমত প্রকাশের দৈনিক আমার দেশের সাংবাদিক অনুসন্ধান করেছেন।
ওই সাংবাদিক রেশমার ভাড়াবাসার মালিকের বরাত দিয়ে জানান, রেশমা ভবন ধসের স্বীকার হয়েছিলো। তবে তাকে সেদিনই উদ্ধার করে কাছের এনাম ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
রানা প্লাজার পাশে বসবাসকারী লোকজন আরো রহস্যময় কিছু তথ্য জানান।
তারা জানান, কিভাবে রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন তাদেরকে জোরপূর্বক তাদের বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া হয়। এবং কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করেই ২৪ ঘন্টা পর আবার ফিরে আসার অনুমতি দেয়া হয়। আর ওই ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রেশমা উদ্ধার অভিযানের ঘটনাটি ঘটানো হয়।
উদ্ধারের পরপর রেশমার শারীরীক অবস্থা ও তার পোশাক দেখেও আর নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
বাংলাদেশি প্রতিবেদকের বরাত দিয়ে মিরর নিউজ জানায়, “রেশমার মধ্যে পুরো ১৭ দিন ধ্বংসস্তুপে পড়ে থাকার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।”
“সে বলেছে যে ইট-সুড়কির ফাঁক ফোঁকরে হাতড়িয়ে খুঁজে সে পরিত্যক্ত খাবার ও পানীয় পেয়েছিলো।”
তবে তার হাতের নখে ১৭ দিন ধরে না কাটার কোনো প্রমাণ দেখা যায়নি। এখন রেশমা ধ্বংসস্তুপেও তার হাতের নখ কেটেছিলো কিনা সে প্রশ্নও জেগেছে জনমনে।
ওই প্রতিবেদক আরো জানান, উদ্ধারের পর রেশমার চোখ স্বাভাবিক খোলা ছিলো। হঠাৎ সূর্যের আলো আসলে যে জড়তা দেখা যাওয়ার কথা, তা হয়নি। আর পরিহিত পোশাকও দেখা যাচ্ছিলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
প্রতিবেদক জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে লোকজন সন্দিহান ছিলো। তবে সরকার এটি আয়োজন করে অলৌকিক বলে প্রচার করেছে। আর বহুলোক এটি বিশ্বাস করে বোকা বনে গেছে।
কিছুদিন আগে রেশমার জন্য সরকারি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে নতুন চাকরির কথা জানানো হয়। যেখানে রেশমা ঢাকার এক হোটেলের এরিয়া অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবে। রেশমাকে ওই সংবাদ সম্মেলনেই তার গড় বেতনের দশ কিস্তি অগ্রিম দেয়া হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে উদ্ধার অভিযান গুজব বলে মন্তব্য করলে রেশমা প্রতিবাদ করে বলেন, “আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে আপনারা ছিলেন না। সুতরাং সে বিষয়ে আপনাদের কোনো ধারণা নেই।”
সানডে মিরর রেশমার বাড়ি ঘোড়াঘাটের রানিগঞ্জে গিয়েছিলো। ঢাকা থেকে যে এলাকা ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। সেখানে রেশমার মা জোবেদার সাথে কথা বলে সানডে মিরর। গুজবের বিষয়টি তাকে জানালে তিনি প্রতিবাদ করে বলেন, “রেশমার উদ্ধারটিকে সবাই অলৌকিক বলে মনে করছে।”
এ বিষয়ে আর কিছু না বলে রেশমার মা বলেন, “আমাদের এখন অনেক টাকা। রেশমা নতুন চাকরি পেয়েছে। আমাদের ভবিষ্যত এখন উজ্জ্বল।”
রেশমার মা আরো বলেন, “ রানা প্লাজা ধসের খবর পেয়ে আমরা ঢাকা যাই। রেশমাকে সেখানে না পেয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি আমরা। আর রেশমাকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় দোয়া করতে থাকি।
মে মাসের ১০ তারিখ, উদ্ধার অভিযানের ১৭ তম দিন সকালে লাউড স্পিকারে ঘোষণা দেয়া হয় যে, একজন নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে। তার নাম রেশমা। এ খবর শুনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারপর জ্ঞান ফিরলে আমাকে হাসপাতালে নেয়া হয় রেশমার সাথে কথা বলার জন্য। রেশমা তখন আমার সাথে কথা বলে। সে জানায় যে ভালো আছে।”
জোবেদা আরো বলেন, “হাতে একটু আঘাত পাওয়া ছাড়া রেশমার আর কিছুই হয়নি। আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলামনা সে আসলে কতোটা ভাগ্যবান। আর্মি তার খোঁজ খবর রাখছিলো। সে একটু সুস্থ্য হওয়ার পর তাকে নতুন চাকরি দেয়া হয়েছে। সে আমাদের প্রতি মাসে টাকা পাঠাবে। আর আমরা চাই সে যাতে বছরে অন্তত দুইবার আমাদের দেখতে গ্রামে আসে।”
ভবন ধসের শিকার হওয়া লোকজন দৈনিক মাত্র এক/দেড়শ টাকা মজুরিতে প্রাইমার্ক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য জিনস প্যান্ট সেলাই করতো।
আক্রান্তদের দাবি এই ধসের কারণ মালিকদের বেখেয়ালী সিদ্ধান্ত। যারা অনুমতি ছাড়াই ভবনটিতে তিন তিনটি তলা যোগ করে। তবে মালিকরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ভবন নির্মাণের আইন ভঙ্গ করায় তাদের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বর্তমানে আন্দোলন হচ্ছে। বাংলাদেশি পুরকৌশলীদের এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের পাঁচ ভাগের তিন ভাগ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানই ধসের ঝুঁকিতে আছে।
মিরর নিউজের পক্ষ থেকে রেশমা উদ্ধার ও এটির গুজব হওয়া সম্পর্কে আর্মির লে. কমান্ডার নূরে আলম সিদ্দীকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। উত্তরে তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের কিছুই বলার নেই।”
মিরর নিউজ দাবি করেছে যে তাদের কাছে রেশমার সহকর্মীর কথার ধারণকৃত প্রমাণ রয়েছে। তবে ওই সহকর্মী প্রতিহিংসার ভয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
ওই সহকর্মীর নাটকীয় গুজবের অভিযোগটি ঢাকার ভিন্নমত প্রকাশের দৈনিক আমার দেশের সাংবাদিক অনুসন্ধান করেছেন।
ওই সাংবাদিক রেশমার ভাড়াবাসার মালিকের বরাত দিয়ে জানান, রেশমা ভবন ধসের স্বীকার হয়েছিলো। তবে তাকে সেদিনই উদ্ধার করে কাছের এনাম ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
রানা প্লাজার পাশে বসবাসকারী লোকজন আরো রহস্যময় কিছু তথ্য জানান।
তারা জানান, কিভাবে রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন তাদেরকে জোরপূর্বক তাদের বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া হয়। এবং কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করেই ২৪ ঘন্টা পর আবার ফিরে আসার অনুমতি দেয়া হয়। আর ওই ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রেশমা উদ্ধার অভিযানের ঘটনাটি ঘটানো হয়।
উদ্ধারের পরপর রেশমার শারীরীক অবস্থা ও তার পোশাক দেখেও আর নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
বাংলাদেশি প্রতিবেদকের বরাত দিয়ে মিরর নিউজ জানায়, “রেশমার মধ্যে পুরো ১৭ দিন ধ্বংসস্তুপে পড়ে থাকার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।”
“সে বলেছে যে ইট-সুড়কির ফাঁক ফোঁকরে হাতড়িয়ে খুঁজে সে পরিত্যক্ত খাবার ও পানীয় পেয়েছিলো।”
তবে তার হাতের নখে ১৭ দিন ধরে না কাটার কোনো প্রমাণ দেখা যায়নি। এখন রেশমা ধ্বংসস্তুপেও তার হাতের নখ কেটেছিলো কিনা সে প্রশ্নও জেগেছে জনমনে।
ওই প্রতিবেদক আরো জানান, উদ্ধারের পর রেশমার চোখ স্বাভাবিক খোলা ছিলো। হঠাৎ সূর্যের আলো আসলে যে জড়তা দেখা যাওয়ার কথা, তা হয়নি। আর পরিহিত পোশাকও দেখা যাচ্ছিলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
প্রতিবেদক জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে লোকজন সন্দিহান ছিলো। তবে সরকার এটি আয়োজন করে অলৌকিক বলে প্রচার করেছে। আর বহুলোক এটি বিশ্বাস করে বোকা বনে গেছে।
কিছুদিন আগে রেশমার জন্য সরকারি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে নতুন চাকরির কথা জানানো হয়। যেখানে রেশমা ঢাকার এক হোটেলের এরিয়া অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবে। রেশমাকে ওই সংবাদ সম্মেলনেই তার গড় বেতনের দশ কিস্তি অগ্রিম দেয়া হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে উদ্ধার অভিযান গুজব বলে মন্তব্য করলে রেশমা প্রতিবাদ করে বলেন, “আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে আপনারা ছিলেন না। সুতরাং সে বিষয়ে আপনাদের কোনো ধারণা নেই।”
সানডে মিরর রেশমার বাড়ি ঘোড়াঘাটের রানিগঞ্জে গিয়েছিলো। ঢাকা থেকে যে এলাকা ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। সেখানে রেশমার মা জোবেদার সাথে কথা বলে সানডে মিরর। গুজবের বিষয়টি তাকে জানালে তিনি প্রতিবাদ করে বলেন, “রেশমার উদ্ধারটিকে সবাই অলৌকিক বলে মনে করছে।”
এ বিষয়ে আর কিছু না বলে রেশমার মা বলেন, “আমাদের এখন অনেক টাকা। রেশমা নতুন চাকরি পেয়েছে। আমাদের ভবিষ্যত এখন উজ্জ্বল।”
রেশমার মা আরো বলেন, “ রানা প্লাজা ধসের খবর পেয়ে আমরা ঢাকা যাই। রেশমাকে সেখানে না পেয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি আমরা। আর রেশমাকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় দোয়া করতে থাকি।
মে মাসের ১০ তারিখ, উদ্ধার অভিযানের ১৭ তম দিন সকালে লাউড স্পিকারে ঘোষণা দেয়া হয় যে, একজন নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে। তার নাম রেশমা। এ খবর শুনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারপর জ্ঞান ফিরলে আমাকে হাসপাতালে নেয়া হয় রেশমার সাথে কথা বলার জন্য। রেশমা তখন আমার সাথে কথা বলে। সে জানায় যে ভালো আছে।”
জোবেদা আরো বলেন, “হাতে একটু আঘাত পাওয়া ছাড়া রেশমার আর কিছুই হয়নি। আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলামনা সে আসলে কতোটা ভাগ্যবান। আর্মি তার খোঁজ খবর রাখছিলো। সে একটু সুস্থ্য হওয়ার পর তাকে নতুন চাকরি দেয়া হয়েছে। সে আমাদের প্রতি মাসে টাকা পাঠাবে। আর আমরা চাই সে যাতে বছরে অন্তত দুইবার আমাদের দেখতে গ্রামে আসে।”
ভবন ধসের শিকার হওয়া লোকজন দৈনিক মাত্র এক/দেড়শ টাকা মজুরিতে প্রাইমার্ক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য জিনস প্যান্ট সেলাই করতো।
আক্রান্তদের দাবি এই ধসের কারণ মালিকদের বেখেয়ালী সিদ্ধান্ত। যারা অনুমতি ছাড়াই ভবনটিতে তিন তিনটি তলা যোগ করে। তবে মালিকরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ভবন নির্মাণের আইন ভঙ্গ করায় তাদের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বর্তমানে আন্দোলন হচ্ছে। বাংলাদেশি পুরকৌশলীদের এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের পাঁচ ভাগের তিন ভাগ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানই ধসের ঝুঁকিতে আছে।
মিরর নিউজের পক্ষ থেকে রেশমা উদ্ধার ও এটির গুজব হওয়া সম্পর্কে আর্মির লে. কমান্ডার নূরে আলম সিদ্দীকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। উত্তরে তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের কিছুই বলার নেই।”
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে মিকাইল ফেরেশতাও রাজাকারী শুরু করেছে
গাজীপুর
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে মিকাইল ফেরেশতাও রাজাকারী শুরু করেছে। গত
পাঁচ বছরে পুরো সিটি কর্পোরেশন এলাকার কোন রাস্তাঘাট-ড্রেন মেরামত না হওয়ায়
এই বৃষ্টিতে সকল রাস্তা নৌকা চলাচলের উপযোগী হয়ে গেছে। সমস্যা হলো
আজমতউল্লা সাহেবের জন্য এখন কেউ ভোট চাইতে যাবারও সাহস পাচ্ছে না। ওরাও
জানে এই অবস্থায় ভোট চাইলে ত্যক্ত-বিরক্ত লোকজন মারধোর শুরু করতে পারে।
হাতে পায়ে ধরেও হেফাজতের মন গলাতে না পেরে পুরোপুরি বেদিশা অবস্থায় সংবাদ শিরোনাম, "জাহাঙ্গীরকে আবারো ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী"।
খুদা বাঁচানেওয়ালা! গতবার তো এ্যাপোলো হাসপাতালে পাওয়া গেছিলো, এইবার কোন হাসপাতালে পাওয়া যায় আল্লাহ মালুম!
- by default ei posto onner!!
Wednesday, June 26, 2013
Guess Shot
প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে সরকার তাদের প্রার্থী আজমত উল্লাহকে বিজয়ী করার জন্য যে কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে । ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য নানা তৎপরতা শুরু করেছে । শুরু হয়েছে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি । তাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়েছেন ১৮ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে চার সিটির মত গাজীপুর সিটিতে মহাজোটের প্রার্থীর ভরাডুবি হবে। গাজিপুরের ফলাফল ছিনিয়ে নেয়ার আওয়ামী সরকারর ঘৃন্য কোন উদ্যোগই সফল হবে না । জনগন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নানের টেলিভিশন প্রতীকের পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটাবে । গত ১৭ বছরে টঙ্গীতে উন্নয়নের নামে যে লুটপাট ও দুর্নীতি হয়েছে, আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নবগঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ১ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে (ইনশাল্লাহ্ )।
----- As usual all content you read here are all collected ones, none are from my brain ----
দেশে এখন ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া
বিরোধীদলীয়
নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে।
আগামীকাল (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার
দেওয়া এক বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা এই অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে খালেদা
জিয়া অভিযোগ করেন, এই সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে বিরোধী দলের অসংখ্য
নেতা-কর্মী গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে
সরকার চরম দমনমূলক নীতি অবলম্বন করে ‘ব্যাপক গণহত্যা’ চালিয়েছে। সাংবাদিক
হত্যা এবং সাংবাদিক নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মত
প্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য একের পর এক সংবাদপত্র, টেলিভিশন
চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে বিরোধীদের কণ্ঠ শোনা না যায়।
খালেদা জিয়া আরও অভিযোগ করেন, দেশের ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামাদেরও নৃশংসভাবে
হত্যা করা হয়েছে। মানুষ আদালতের কাছেও কোনো ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। সরকার
নিজেদের স্বার্থে আদালতকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধোত্তর ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে জাতিসমূহ স্বাধীনতা অর্জন করলেও আজও
বিশ্বব্যাপী চলছে জাতিগত, বর্ণগত, ভাষাগত, ধর্ম ও সম্প্রদায়গত সংঘাত। আর
এই সংঘাত ও বিরোধের কারণেই সাধারণ মানুষেরা দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের
জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নিহত ও পঙ্গুত্ববরণ করছে। সারা বিশ্ব আজ যান্ত্রিক
সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও মানবিক সভ্যতা বেশি দূর এগোতে পারেনি। বাংলাদেশেও এখন
ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে।’
চিকিৎসা শেষে গতকাল সোমবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া।
২৮ জুন শাহবাগে সংঘর্ষের আশঙ্কা বিভক্ত গণজারণ মঞ্চ, আসছে ‘বিচ্ছু বাহিনী’
বিভক্ত
হয়ে পড়েছে শাহবাগের সরকার সমর্থক গণজাগরণ মঞ্চ। দীর্ঘদিনের চলা আন্দোলনে
ছোট ছোট যেসব গ্রুপ ও সংগঠন যোগ দিয়েছিল তারা এখন বিভক্ত হয়ে নতুনভাবে
শুরু করতে যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন।
এই গ্রুপ ও
সংগঠনগুলো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্ব আর মানতে
চাইছে না। তাদের অভিযোগ, ইমরান ও গণজাগরণ মঞ্চের মূল নেতারা সরকারের
স্বার্থ রক্ষার্থেই কাজ করে যাচ্ছে।
নতুন করে আন্দোলন সৃষ্টির
লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নিজেদের ‘বিচ্ছু বাহিনী’ নাম দিয়ে আগামী ২৮ জুন শাহবাগে
মানববন্ধন ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এতেই স্পষ্ট হচ্ছে জাগরণ মঞ্চের
বিভক্তি।
অপরদিকে, ‘বিচ্ছু বাহিনী’কে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে ডা.
ইমরান এইচ সরকারের অনুসারিরা। ইমরানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্লগার
অমি রহমান পিয়াল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন বিভক্ত
অংশকে।
পিয়ালের কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ২৮ জুনের কর্মসূচিতে
সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পিয়াল
কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন তার ফেসবুকে।
মঙ্গলবার তিনি লিখেছেন,
‘একটা কথা পরিষ্কার করা জরুরি, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা
ও ট্রাইব্যুনালের কাজ নির্বিঘ্নে চলার জন্য শাহবাগে যে জাগরণের সূচনা তা
ব্লগার-অ্যাকটিভিস্ট ও ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত গণজাগরণ
মঞ্চ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এখানে কোনো একক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা নেই কারও,
এমনকি খোদ ইমরান এইচ সরকারও কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এবং সবার সম্মতি
ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণার অধিকার রাখে না। সবার সম্মতিতেই আপাতত
জনসমাবেশ স্থগিত রেখে মূল নেতৃত্ব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে
অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তা এখনও বজায় আছে। গণজাগরণের প্রতিটি
সমাবেশ এখন কর্মসূচি ভিত্তিক, এই মুহূর্তে যেমন বিভিন্ন জেলায় কর্মী
সম্মেলন চলছে।
তাই ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া চলবে না এবং মঞ্চ
অননুমোদিত কোনো সমাবেশ এবং এতে কোনো ঘটনা দুর্ঘটনার দায়ও মঞ্চ নিবে না।
অতএব খিয়াল কইরা...’
পিয়ালের এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করে
ফয়সাল সিকদার নামে একজন বলেছেন, ‘এতে কোনো ঘটনা-দুর্ঘটনার দায়ও মঞ্চ নিবে
না। অতএব খিয়াল কইরা...’ তার মানে আপনারা দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্য গুণ্ডলীগ
রেডি রেখেছেন?’
তানভীর চৌধুরী পিয়েল নামে একজন বলেছেন, ‘মঞ্চ অননুমোদিত... মঞ্চের অনুমতি নিতে হয় কার কাছ থেকে?’
হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু নামে একজন বলেছেন, ‘দেখতে-দেখতে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে।
ধর্ম-ব্যবসায়ী রাজাকারদের প্রতিরোধ করতে না পারলে পুরো জাতিকে এর খেসারত
দিতে হবে। সদ্য-সমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি অশনি সংকেত দিয়ে গেল।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাঙালি জাতি এরই মধ্যে সীমাহীন দুর্নীতি আর জঙ্গিবাদের
কালো অধ্যায়কে ভুলতে বসেছে। মাহমুদুর রহমানের ‘নাস্তিকতার’ ট্যাবলেট এই
সহজ-সরল জনগোষ্ঠীকে ধর্মের ঘোর লাগিয়ে আবার সেই অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে
বসেছে। মনে রাখবেন, আপনার-আমার ভবিষ্যত চিরকাল এই গ্রাম-গঞ্জের
কৃষক-শ্রমিকই নির্ধারণ করে আসছে। আজকে যদি তারা ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন থেকে
ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে, তার মাশুল কি হতে পারে একবার চিন্তা করেন। আপনারা
গণজাগরণ মঞ্চ করছেন, ব্লগ-ফেবুতে বিপ্লবের বন্যা বসাই দিচ্ছেন, আর ঐদিকে
আওয়ামী লীগ ভোটে হেরে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ছে। কি লাভ হইল শেষকালে???
কে করবে যুদ্ধাপরাধীর বিচার??? কে বাঁচিয়ে রাখবে আপনাদের মুক্তচিন্তার
পরিসর??’
তিনি আরো বলেন, ‘তাই, আসুন এখন থেকেই আওয়ামী লীগের
পক্ষে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করি, যার-যার অবস্থান থেকে। প্রত্যেকটি
অপপ্রচারের সমুচিত জবাব দিতে হবে। সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের কাছে
তথ্য-নির্ভর প্রচারণা চালাতে হবে। সঠিক খবরটা পৌঁছে দিতে হবে ঘরে-ঘরে। মনে
করিয়ে দিতে হবে বিএনপি-জামাতের দুঃশাসনের দিনগুলোর কথা। উন্নয়ন-অগ্রগতির
প্রত্যেকটি দিক তুলে ধরতে হবে মানুষের সামনে।’
তিনি আরো বলেন,
‘তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য প্রার্থী
মনোনয়ন করা। এই প্রেক্ষিতে একটা ডাটাবেজ করা লাগবে, গত নির্বাচনের
প্রার্থী (বর্তমান এমপি)-দের কার কেমন জনপ্রিয়তা এই মুহূর্তে, তারা জিতে
আসার মত অবস্থায় আছে কি-না, অন্যথায় বিকল্প প্রার্থী কে/কারা হতে পারে,
ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ কাজ করতে হবে এখন থেকেই। জনতার রায়ের উপর আমাদের
আস্থা আছে। ইনশাল্লাহ, বাংলার জনগণ নিশ্চই ভুল করবে না। আমরা নির্বাচনে
হারবো না, যদি না আমরা নিজেরা বড় ধরনের কোনো ভুল স্ট্র্যাটেজি ফলো করি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে একযোগে কাজ করলে জয় আমাদের হবেই।’
এর আগে রবিবার দেয়া একটি ফেসবুক পোস্টে পিয়াল লিখেছেন, ‘…গতকাল বিকালে
শাহবাগে বইসা আছি, এমন সময় মোবাইলে নোটিফিকেশন পাইলাম, একজন একটা ইভেন্টে
দাওয়াত দিতে চায়। কি ইভেন্ট? ২৮ তারিখ শাহবাগে অবস্থানের। আওলাইলাম,
প্রচণ্ড রাগ নিয়া লেখলাম আমরা যারা তাইলে শাহবাগে প্রতিদিন অবস্থান করতেছি
আমরা কারা? কিসের জন্য আছি? কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হইয়া গেলো যে নতুন
কইরা ডাক পড়লো সমাবেশের। তাও আবার ২৮ তারিখে ক্যান? ক্যানো আম্মার
মৃত্যুবার্ষিকী ২৬ তারিখে না!
এর আগে আমি একটা স্ট্যাটাসে প্রকাশ
করছিলাম বড় একটা মিডিয়া গোষ্ঠীর অর্থায়নে চিংকু বামরা নতুন কইরা জাগরণের
ডাক দিবে, এই মাসের ৩ তারিখ গোলামের রায় হওয়ার সম্ভাবনা মাথায় নিয়া এই
ছকটা কষা হইছিল সুবহে সাদিক অফিসে। রাসেল স্কোয়ার কিংবা কারওয়ান বাজারে
ওই ডাক দিয়া শাহবাগের নেতৃত্বরে অবাঞ্ছিত ঘোষণার একটা ষড়যন্ত্র নিয়াই
একাট্টা হইছিলো তারা, জামাত-শিবির বিএনপির পোলাপাইন সর্বাত্মক সহায়তা
দিয়া এই সমাবেশরে বিশাল কিছু বানায়া দিতো। সেইটা মাঠে মারা গেছিলো সময়
মতো প্রকাশ কইর দেওয়ায় (আমার ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক এখন পর্যন্ত একটাও
মিস করে নাই)। তো ২৮ তারিখ কি সেটারই ইমপ্রোভাইজড সংস্করণ দেখা যাবে?
জামাত-শিবির আর তাদের সহায়ক গোষ্ঠীদের শাহবাগে ঢোকানোর জন্য ট্রোজান হর্স
সাজতেছে কারা এইসব হঠাৎ চেতনাপ্রাপ্ত নব্য বিপ্লবী! একটু খিয়াল করলেই চিনা
যাবে সব কয়টারে। এই সমাবেশ সেই সমাবেশ ডাইকা ড্রেস রিহার্সেল চলতেছে কিছু
দিন ধইরা। ওয়াচে আছি কইলাম মামুরা, খিয়াল কইরা। আসলেই মাইরের উপর ওষুধ
নাই...’
বিভক্ত তরুণরা ইতোমধ্যে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট করে সেখানে
২৮ জুনের সমাবেশে যোগ দিতে নিমন্ত্রণ পাঠাতে শুরু করেছে। তাতে দাবির মধ্যে
বলা হয়েছে, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সর্বোচ্চ সাজা
নিশ্চিত এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে ২৮ জুন শাহবাগ
প্রজন্ম চত্তরে গণ-বিষ্ফোরণ।’
জাগো শাহাবাগ, আবার জাগো নামের এই
ইভেন্ট পাতাটিতে বলা হয়েছে, ‘চেতনা কখনো মরে না। আমাদের চেতনাও মর নি;
প্রমাণের সময় চলে এসেছে। আসুন শাহবাগে, আবার আমরা প্রমাণ করি আমাদের
প্রজন্ম ঘুমিয়ে নেই। আসুন শাহবাগে ২৮ জুন শুক্রবার, বিকেল ৩টায়। জাগো
প্রজন্ম, জাগো শাহাবাগ। জয় বাংলা।’
২৮ জুনের সমাবেশ সফল করতে এবং
বিভিন্ন মহল থেকে আসা হুমকির বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার শাহবাগের ছবির হাঁটে
বৈঠক করেছে শাহবাগ আন্দোলনের বিদ্রোহীরা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে,
সমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার একটি লিফলেট
বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ওই বৈঠক থেকে।
সমাবেশে যেকোনো
ধরনের বাধা আসলে তা প্রতিহত করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে সব
কিছুই নির্ভর করবে সমাবেশে কি পরিমাণ উপস্থিতি হয় তার ওপর, এমনটাই বলছে
বৈঠকের একাধিক সূত্র।
Tuesday, June 25, 2013
আ.লীগ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই প্রথম শুরু করেছিলেন মিছিল : যেখান থেকে শুরু রামুর সহিংসতা
কক্সবাজারের রামু সদরে যে ঘটনা থেকে
বৌদ্ধবসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, তার শুরুটা করেছিল আওয়ামী
লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই। শনিবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে ‘কোরআনের
ওপর মহিলার দুই পা’র ছবি ট্যাগকারী উত্তম বড়ুয়ার সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়
আওয়ামী মত্স্যজীবী লীগের রামু উপজেলা সভাপতি আনছারুল হক ভূট্টোর। ওই ঘটনার
পরই আনছারুল হক ভূট্টোর নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। আর সেই মিছিল থেকেই
পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উত্তাল রূপ নেয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ও অনুসন্ধানে জানা যায়, সহিংস ঘটনা শুরু হওয়ার ৩-৪ দিন আগে ফেসবুকের ‘ইনসাল্ট আল্লাহ’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে রামু সদরের বড়ুয়া পাড়ার যুবক উত্তম কুমার বড়ুয়া বিতর্কিত ছবিটি শেয়ার করেন। শেয়ার করার পর রামু উপজেলা মত্স্যজীবী লীগের সভাপতি আনছারুল হক ভূট্টোও ছবিটি দেখতে পান। ছবিটি দেখার পর উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা
বলেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছেন, মত্স্যজীবী লীগের নেতা ভূট্টো বিতর্কিত ছবিটি কেন সে ফেসবুকে শেয়ার করেছে জানতে চাইলে উত্তম বড়ুয়া উল্টো তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আনছারুল হক ভূট্টো ‘তুমি দাঁড়াও, আমি আসছি’ বলে মোবাইল রেখে দেন।
সূত্রগুলোর মতে, মোবাইল রাখার পরপরই মত্স্যজীবী লীগ নেতা আনছারুল হক ভূট্টো তার দলীয় ছেলেদের খবর দেন। পরে রাত ১০টার দিকে প্রথম মিছিলটি বের করেন তিনিই। ওই মিছিল থেকে বিতর্কিত ছবি ট্যাগকারী উত্তম বড়ুয়ার শাস্তি দাবি করা হয়। ওই মিছিলে আনছারুল হক ভূট্টো ছাড়া জেলা ছাত্রলীগ সদস্য সাদ্দাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন সভাপতি আজিজুল হক, যুবলীগ নেতা সাব্বিরের ভাই হাফেজ মোহাম্মদসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই ছিলেন। মিছিল শেষে রামু চৌমুহনী চত্বরে একটি সমাবেশও করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম সেলিম, মত্স্যজীবী লীগ নেতা আনছারুল হক ভূট্টো প্রমুখ।
এই সমাবেশ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘দুষ্কৃতকারী’দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না হলে পরদিন রামুতে বৃহত্তর কর্মসূচিসহ হরতাল পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাত্র ৫০-৬০ জনের ওই মিছিলটিই ছিল এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম মিছিল।
তাদের মতে, মিছিল ও সমাবেশ শেষে আবারও মিছিলটি রামুর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বড়ুয়া পাড়ার দিকে ঢুকে যায়। পরে ওই মিছিলেই আস্তে আস্তে লোক বাড়তে থাকে। একসময় তা হাজারে হাজারে হয়ে যায়। উত্তেজিত মানুষ তখন কেবলই বড়ুয়াপাড়া ও বৌদ্ধ মন্দিরসহ সংশ্লিষ্ট স্থাপনামুখী। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে ছবিসহ নিউজ ছাপা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মত্স্যজীবী লীগ নেতা আনছারুল হক ভূট্টোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/10/02/166711
বিশ্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র নির্মাণ, আমেরিকায় পবিত্র কোরআন পোড়ানো, বালাদেশে শেখ হাসিনার আমলে ৪৪বার ৪৪জন ব্যক্তি মহানবী (সাঃ) এর অবমাননা এবং মিয়ানমারে মুসলিম নিধন যদি সাম্প্রদায়িক না হয় তবে বৌদ্ধদের মন্দির পোড়নোও সাম্প্রদায়িক নয়। যারা এটাকে সাম্প্রদায়িক বলছে বা মৌলবাদীদের কাজ বলছে তারা দেশপ্রেমিক নয়, তারা এদেশের মুসলমানদের শত্রু, দেশের শত্রু, তাদেরকে চিনে রাখুন।
collected
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ও অনুসন্ধানে জানা যায়, সহিংস ঘটনা শুরু হওয়ার ৩-৪ দিন আগে ফেসবুকের ‘ইনসাল্ট আল্লাহ’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে রামু সদরের বড়ুয়া পাড়ার যুবক উত্তম কুমার বড়ুয়া বিতর্কিত ছবিটি শেয়ার করেন। শেয়ার করার পর রামু উপজেলা মত্স্যজীবী লীগের সভাপতি আনছারুল হক ভূট্টোও ছবিটি দেখতে পান। ছবিটি দেখার পর উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা
বলেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছেন, মত্স্যজীবী লীগের নেতা ভূট্টো বিতর্কিত ছবিটি কেন সে ফেসবুকে শেয়ার করেছে জানতে চাইলে উত্তম বড়ুয়া উল্টো তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আনছারুল হক ভূট্টো ‘তুমি দাঁড়াও, আমি আসছি’ বলে মোবাইল রেখে দেন।
সূত্রগুলোর মতে, মোবাইল রাখার পরপরই মত্স্যজীবী লীগ নেতা আনছারুল হক ভূট্টো তার দলীয় ছেলেদের খবর দেন। পরে রাত ১০টার দিকে প্রথম মিছিলটি বের করেন তিনিই। ওই মিছিল থেকে বিতর্কিত ছবি ট্যাগকারী উত্তম বড়ুয়ার শাস্তি দাবি করা হয়। ওই মিছিলে আনছারুল হক ভূট্টো ছাড়া জেলা ছাত্রলীগ সদস্য সাদ্দাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন সভাপতি আজিজুল হক, যুবলীগ নেতা সাব্বিরের ভাই হাফেজ মোহাম্মদসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই ছিলেন। মিছিল শেষে রামু চৌমুহনী চত্বরে একটি সমাবেশও করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম সেলিম, মত্স্যজীবী লীগ নেতা আনছারুল হক ভূট্টো প্রমুখ।
এই সমাবেশ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘দুষ্কৃতকারী’দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না হলে পরদিন রামুতে বৃহত্তর কর্মসূচিসহ হরতাল পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাত্র ৫০-৬০ জনের ওই মিছিলটিই ছিল এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম মিছিল।
তাদের মতে, মিছিল ও সমাবেশ শেষে আবারও মিছিলটি রামুর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বড়ুয়া পাড়ার দিকে ঢুকে যায়। পরে ওই মিছিলেই আস্তে আস্তে লোক বাড়তে থাকে। একসময় তা হাজারে হাজারে হয়ে যায়। উত্তেজিত মানুষ তখন কেবলই বড়ুয়াপাড়া ও বৌদ্ধ মন্দিরসহ সংশ্লিষ্ট স্থাপনামুখী। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে ছবিসহ নিউজ ছাপা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মত্স্যজীবী লীগ নেতা আনছারুল হক ভূট্টোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/10/02/166711
বিশ্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র নির্মাণ, আমেরিকায় পবিত্র কোরআন পোড়ানো, বালাদেশে শেখ হাসিনার আমলে ৪৪বার ৪৪জন ব্যক্তি মহানবী (সাঃ) এর অবমাননা এবং মিয়ানমারে মুসলিম নিধন যদি সাম্প্রদায়িক না হয় তবে বৌদ্ধদের মন্দির পোড়নোও সাম্প্রদায়িক নয়। যারা এটাকে সাম্প্রদায়িক বলছে বা মৌলবাদীদের কাজ বলছে তারা দেশপ্রেমিক নয়, তারা এদেশের মুসলমানদের শত্রু, দেশের শত্রু, তাদেরকে চিনে রাখুন।
collected
অরিয়ানা ফালাসি'র : শেখ মুজিবের সাক্ষাতকার
গতরাতে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিএনএন এর ইন্টারভিউটি দেখার পর অনেকেই আজ ইতালি'র
জগদ্বিখ্যাত সাংবাদিক অরিয়ানা ফালাসি'র কথা মনে করেছেন।
ইত্তেফাক-এর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু-কে যারা চিনেন,তারা জানেন যে,তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াঁ'র এই গুনধর পুত্র'টির মাঝে কিছুটা হলেও পিতার মতো গ্লোবাল পলিটিক্স বুঝার এক অনবদ্য জ্ঞান আছে। হোয়াটএভার,
সেই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু'র অনুবাদ করা অরিয়ানা ফালাসি'র,শেখ মুজিবের নেয়া সাক্ষাতকার টি নীচে হুবুহু তুলে দিলাম।
হিস্টরি কিভাবে রিপিট হয় নিজের চোখেই দেখুন -
ইতালির প্রখ্যাত সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচীর সাথে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকারঃ-
(ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরী- ওরিয়ানী ফালাসী; অনুবাদ- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু; ইত্তেফাক)
ইতালির প্রখ্যাত সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচীর সাথে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকারটি ছিল ঐতিহাসিক। শেখ মুজিবের চরিত্র,আত্ম-অহংকার,যোগ্যতা ও মানবতার মান বুঝবার জন্য আর কোন গবেষণার প্রয়োজন নেই,সে জন্য এই একটি মাত্রসাক্ষাৎকারই যথেষ্ট।এখানে সে বিখ্যাত সাক্ষাতাকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলঃ
রোববার সন্ধাঃ আমি কোলকাতা হয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করেছি। সত্যি বলতে কি,১৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১; মুক্তিবাহিনী তাদের বেয়োনেট দিয়ে যে যজ্ঞ চালিয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার পর এ পৃথিবীতে আমার অন্তিম ইচ্ছা ছিল যে, এই ঘৃন্য নগরীতে আমি আর পা রাখবো না- এ রকম সিদ্ধান্ত আমি নিয়েই ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার সম্পাদকের ইচ্ছা যে, আমি মুজিবের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। (এখানে ওরিয়ানা ফালাচী সেই ১৮ই ডিসেম্বরের বীভৎস বর্বর ঘটনাকে ইঙ্গিত করছেন।) ঢাকা স্টেডিয়াম কাদের সিদ্দিকী, তার দলবল নিয়ে কিছু হাতপা বাধা রাজকারকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছিল। আন্তর্জাতিক আইনে কোন বন্দীকে হত্যা করা গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। আর সেটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রকাশ্যে,ঢাকা স্টেডিয়াম হাজার হাজার মানুষের সামনে। কিন্তু যে ব্যক্তিটি এ নৃশংস যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত তাকে জাতীয় বীর হিসাবে মুজিব সরকার স্বীকৃতি দেয়। হত্যারত কাদের সিদ্দিকীর ছবি বিদেশী পত্রিকায় ছাপাও হয়েছিল। ভারতীয় বাহিনী তাকে গ্রেফতারও করে, কিন্তু মুজিব তাকে ছাড়িয়ে নেন।)
আমার স্মরণ হলো,১৮ই ডিসেম্বর যখন আমি ঢাকায় ছিলাম,তখন লোকজন বলছিল,“মুজিব থাকলে সেই নির্মম,ভয়ংকর ঘটনা কখনোই ঘটতো না”। কিন্তু গতকাল (মুজিবের বাংলাদেশে ফিরে আসার পর) মুক্তিবাহিনী কেন আরো ৫০ জন নিরীহ বিহারীকে হত্যা করেছে?.. আমি বিস্মিত হয়েছি যে,এই ব্যক্তিটি ১৯৬৯ সালের নভেম্বরে সাংবাদিক অ্যালডো শানতিনিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আমার দেশে আমি সবচেয়ে সাহসী এবং নির্ভীক মানুষ,আমি বাংলার বাঘ,দিকপাল।.. এখানে যুক্তির স্থান নেই।.. আমি বুঝতে পারিনি আমার কি ভাবা উচিত।
সোমবার সন্ধাঃ ..তার মানসিক যোগ্যতা সম্পর্কে আমার সন্দেহ ছিল।..তার ভারসাম্যহীনতাকে আমি আর কোন ভাবেই ব্যাখা করতে পারি না।..আমি যত তাকে পর্যবেক্ষণ করেছি,তত মনে হয়েছে তিনি কিছু একটা লুকাচ্ছেন। এমন কি তার মধ্যে যে সার্বক্ষণিক আক্রমণাত্মক ভাব, সেটাকে আমার মনে হয়েছে আত্মরক্ষার কৌশল বলে। ঠিক চারটায় আমি সেখানে ছিলাম। ভাইস সেক্রেটারি আমাকে করিডোরে বসতে বললেন,যেখানে কমপক্ষে পঞ্চাশজন লোকে ঠাসাঠাসি ছিল। তিনি অফিসে প্রবেশ করে মুজিবকে আমার উপস্থিতি সম্পর্কে জানালেন। আমি একটা ভয়ংকর গর্জন শুনলাম এবং নিরীহ লোকটি কম্পিতভাবে পুনরায় আবির্ভূত হয়ে আমাকে প্রতীক্ষা করতে বললেন। আমি প্রতীক্ষা করলাম-এক ঘণ্টা,দুই ঘণ্টা,তিন ঘণ্টা,চার ঘণ্টা –রাত আটটা যখন বাজলো তখনো আমি সেই অফিসের করিডোরে অপেক্ষামান। রাত সাড়ে আটটায় আমাকে প্রবেশ করতে বলা হলো। আমি বিশাল এক কক্ষে প্রবেশ করলাম। একটি সোফা ও দুটো চেয়ার সে কক্ষে।
মুজিব সোফার পুরোটায় নিজেকে বিস্তার করেছেন এবং দুইজন মোটা মন্ত্রী চেয়ার দু’টো দখল করে বসে আছেন। কেউ দাঁড়ালো না। কেঊই আমাকে অভ্যার্থনা জানালো না।কেউ আমার উপস্থিতিকে গ্রাহ্যও করলো না। মুজিব আমাকে বসতে বলার সৌজন্য প্রদর্শন না করা পর্যন্ত সুদীর্ঘক্ষণ নীরবতা বিরাজ করছিল।আমি সোফার ক্ষুদ্র প্রান্তে বসে টেপ রেকর্ডার খুলে প্রথম প্রশ্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু আমার সে সময়ও ছিল না।
মুজিব চিৎকার শুরু করে দিলেন,
“হ্যারি আপ,কুইক, আন্ডারষ্টান্ড? ওয়েষ্ট করার মত সময় আমার নাই। ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?..পাকিস্তানীরা ত্রিশ লক্ষ লোক হত্যা করেছে, ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?
আমি বললাম,মি. প্রাইম মিনিস্টার..। “মি. প্রাইম মিনিস্টার, গ্রেফতারের সময় কি আপনার উপর নির্যাতন করা হয়েছিল?”
“ম্যাডাম নো। তারা জানতো,ওতে কিছু হবে না। তারা আমার বৈশিষ্ট্য,আমার শক্তি,আমার সম্মান,আমার মূল্য,বীরত্ব সম্পর্কে জানতো,আন্ডারস্ট্যান্ড?”
“তা বুঝলাম। কিন্তু আপনি কি করে বুঝলেন যে তারা আপনাকে ফাঁসীতে ঝুলাবে? ফাঁসীতে ঝুঁলিয়ে কি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়?”
“নো নো ডেথ সেন্টেন্স?” এই পর্যায়ে তাকে দ্বিধাগ্রস্ত মনে হলো। এবং তিনি গল্প শুরু করলেন,
“আমি এটা জানতাম। কারণ ১৫ই ডিসেম্বর ওরা আমাকে কবর দেয়ার জন্য একটা গর্ত খনন করে”।
“কোথায় খনন করা হয়েছিল সেটা?”
“আমার সেলের ভিতর।”
“আপনার প্রতি কেমন আচরণ করা হয়েছে মি. প্রাইম মিনিস্টার?”
“আমাকে একটি নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছিল। এমনকি আমাকে সাক্ষাৎকারের অনুমতি দেয়া হতো না। সংবাদপত্র পাঠ করতে বা চিঠিপত্রও দেয়া হতো না, আন্ডারস্ট্যান্ড?”
“তাহলে আপনি কি করেছেন?”
“আমি অনেক চিন্তা করেছি।”
“আপনি কি পড়েছেন?”
“বই ও অন্যান্য জিনিস।”
“তাহলে আপনি কিছু পড়েছেন।”
“হ্যা কিছু পড়েছি।”
“কিন্তু আমার ধারণা হয়েছিল,আপনাকে কিছুই পড়তে দেয়া হয়নি। “
“ইউ মিস আন্ডারস্টুড।”
“..কি হলো যে শেষ পর্যন্ত ওরা আপনাকে ফাঁসীতে ঝুলানো না।”
“জেলার আমাকে সেল থেকে পলাতে সহায়তা করেছেন এবং তার বাড়ীতে আশ্রয় দিয়েছেন।”
“কেন,তিনি কি কোন নির্দেশ পেয়েছিলেন?
“আমি জানি না। এ ব্যাপারে তার সাথে আমি কোন কথা বলিনি এবং তিনিও আমার সাথে কথা কিছু বলেননি।”
“নীরবতা সত্ত্বেও কি আপনারা বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন।”
“হ্যাঁ,আমাদের মধ্যে বহু আলোচনা হয়েছে এবং তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, আমাকে সাহায্য করতে চান।”
“তাহলে আপনি তার সাথে কথা বলেছেন।”
“হ্যাঁ,আমি তার সাথে কথা বলেছি।”
“আমি ভেবেছিলাম,আপনি কারোই সাথে কথা বলেননি।”
“ইউ মিস আন্ডারস্টুড।”
... এরপর ১৮ই ডিসেম্বর হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি রাগে ফেটে পড়েন। নিচের অংশটি আমার টেপ থেকে নেয়া।
“ম্যাসাকার? হোয়াট ম্যাসাকার?”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাটি?”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে কোন ম্যাসাকার হয়নি। তুমি মিথ্যে বলছো।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার,আমি মিথ্যাবাদী নই। সেখানে আরো সাংবাদিক ও পনের হাজার লোকের সাথে আমি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি। আমি চাইলে আমি আপনাকে তার ছবিও দেখাবো। আমার পত্রিকায় সে ছবি প্রকাশিত হয়েছে।”
“মিথ্যাবাদী, ওরা মুক্তিবাহিনী নয়।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার,দয়া করে মিথ্যাবাদী শব্দটি আর উচ্চারণ করবেন না। তারা মুক্তিবাহিনী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আব্দুল কাদের সিদ্দিকী এবং তারা ইউনিফর্ম পরা ছিল।”
“তাহলে হয়তো ওরা রাজাকার ছিল যারা প্রতিরোধের বিরোধীতা করেছিল এবং কাদের সিদ্দিকী তাদের নির্মূল করতে বাধ্য হয়েছে।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার,..কেউই প্রতিরোধের বিরোধীতা করেনি। তারা ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। হাত পা বাঁধা থাকায় তারা নড়াচড়াও করতে পারছিল না।”
“মিথ্যেবাদী।”
“শেষ বারের মতো বলছি, আমাকে মিথ্যেবাদী বলার অনুমতি আপনাকে দেবো না।”
(ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরী,ওরিয়ানী ফালাসী অনুবাদে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু,ইত্তেফাক )।
এই হলো মুজিবের চরিত্র ও মানবতার মান। ঢাকা স্টেডিয়ামে হাতপা বাঁধা রাজাকারদের কাদের সিদ্দীকী ও তার সাথীরা হত্যা করল,বিদেশী পত্রিকায় সে খবর ছাপা হলো,বহু সাংবাদিকসহ বহু হাজার বাংলাদেশী সেটি দেখল,অথচ শেখ মুজিব সেটি বিশ্বাসই করতে চান না। এতবড় যুদ্ধাপরাধের ন্যায় সত্য ঘটনাকে তিনি মিথ্যা বলছেন। অপর দিকে যে পাকিস্তান সরকার তার গায়ে একটি আঁচড়ও না দিয়ে জেল থেকে ছেড়ে দিল তাদের বিরুদ্ধে বলছেন,তাকে নাকি তারা হত্যা ও হত্যা শেষে দাফন করার জন্য তাঁরই জেলের প্রকোষ্টে একটি কবর খোদাই করেছিল! অথচ তার কোন প্রমাণই নেই। কিন্তু সমস্যা হলো,সাধারণ বাংলাদেশীদের জন্য ইতিহাসের এ সত্য বিষয়গুলো জানার কোন পথই খোলা রাখা হয়নি। ইতিহাসের বই থেকে এসব সত্যগুলোকে পরিকল্পিত ভাবে লুকানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে কিছুই জানতে দেয়া হচ্ছে না।
collected
ইত্তেফাক-এর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু-কে যারা চিনেন,তারা জানেন যে,তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াঁ'র এই গুনধর পুত্র'টির মাঝে কিছুটা হলেও পিতার মতো গ্লোবাল পলিটিক্স বুঝার এক অনবদ্য জ্ঞান আছে। হোয়াটএভার,
সেই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু'র অনুবাদ করা অরিয়ানা ফালাসি'র,শেখ মুজিবের নেয়া সাক্ষাতকার টি নীচে হুবুহু তুলে দিলাম।
হিস্টরি কিভাবে রিপিট হয় নিজের চোখেই দেখুন -
ইতালির প্রখ্যাত সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচীর সাথে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকারঃ-
(ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরী- ওরিয়ানী ফালাসী; অনুবাদ- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু; ইত্তেফাক)
ইতালির প্রখ্যাত সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচীর সাথে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকারটি ছিল ঐতিহাসিক। শেখ মুজিবের চরিত্র,আত্ম-অহংকার,যোগ্যতা ও মানবতার মান বুঝবার জন্য আর কোন গবেষণার প্রয়োজন নেই,সে জন্য এই একটি মাত্রসাক্ষাৎকারই যথেষ্ট।এখানে সে বিখ্যাত সাক্ষাতাকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলঃ
রোববার সন্ধাঃ আমি কোলকাতা হয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করেছি। সত্যি বলতে কি,১৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১; মুক্তিবাহিনী তাদের বেয়োনেট দিয়ে যে যজ্ঞ চালিয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার পর এ পৃথিবীতে আমার অন্তিম ইচ্ছা ছিল যে, এই ঘৃন্য নগরীতে আমি আর পা রাখবো না- এ রকম সিদ্ধান্ত আমি নিয়েই ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার সম্পাদকের ইচ্ছা যে, আমি মুজিবের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। (এখানে ওরিয়ানা ফালাচী সেই ১৮ই ডিসেম্বরের বীভৎস বর্বর ঘটনাকে ইঙ্গিত করছেন।) ঢাকা স্টেডিয়াম কাদের সিদ্দিকী, তার দলবল নিয়ে কিছু হাতপা বাধা রাজকারকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছিল। আন্তর্জাতিক আইনে কোন বন্দীকে হত্যা করা গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। আর সেটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রকাশ্যে,ঢাকা স্টেডিয়াম হাজার হাজার মানুষের সামনে। কিন্তু যে ব্যক্তিটি এ নৃশংস যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত তাকে জাতীয় বীর হিসাবে মুজিব সরকার স্বীকৃতি দেয়। হত্যারত কাদের সিদ্দিকীর ছবি বিদেশী পত্রিকায় ছাপাও হয়েছিল। ভারতীয় বাহিনী তাকে গ্রেফতারও করে, কিন্তু মুজিব তাকে ছাড়িয়ে নেন।)
আমার স্মরণ হলো,১৮ই ডিসেম্বর যখন আমি ঢাকায় ছিলাম,তখন লোকজন বলছিল,“মুজিব থাকলে সেই নির্মম,ভয়ংকর ঘটনা কখনোই ঘটতো না”। কিন্তু গতকাল (মুজিবের বাংলাদেশে ফিরে আসার পর) মুক্তিবাহিনী কেন আরো ৫০ জন নিরীহ বিহারীকে হত্যা করেছে?.. আমি বিস্মিত হয়েছি যে,এই ব্যক্তিটি ১৯৬৯ সালের নভেম্বরে সাংবাদিক অ্যালডো শানতিনিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আমার দেশে আমি সবচেয়ে সাহসী এবং নির্ভীক মানুষ,আমি বাংলার বাঘ,দিকপাল।.. এখানে যুক্তির স্থান নেই।.. আমি বুঝতে পারিনি আমার কি ভাবা উচিত।
সোমবার সন্ধাঃ ..তার মানসিক যোগ্যতা সম্পর্কে আমার সন্দেহ ছিল।..তার ভারসাম্যহীনতাকে আমি আর কোন ভাবেই ব্যাখা করতে পারি না।..আমি যত তাকে পর্যবেক্ষণ করেছি,তত মনে হয়েছে তিনি কিছু একটা লুকাচ্ছেন। এমন কি তার মধ্যে যে সার্বক্ষণিক আক্রমণাত্মক ভাব, সেটাকে আমার মনে হয়েছে আত্মরক্ষার কৌশল বলে। ঠিক চারটায় আমি সেখানে ছিলাম। ভাইস সেক্রেটারি আমাকে করিডোরে বসতে বললেন,যেখানে কমপক্ষে পঞ্চাশজন লোকে ঠাসাঠাসি ছিল। তিনি অফিসে প্রবেশ করে মুজিবকে আমার উপস্থিতি সম্পর্কে জানালেন। আমি একটা ভয়ংকর গর্জন শুনলাম এবং নিরীহ লোকটি কম্পিতভাবে পুনরায় আবির্ভূত হয়ে আমাকে প্রতীক্ষা করতে বললেন। আমি প্রতীক্ষা করলাম-এক ঘণ্টা,দুই ঘণ্টা,তিন ঘণ্টা,চার ঘণ্টা –রাত আটটা যখন বাজলো তখনো আমি সেই অফিসের করিডোরে অপেক্ষামান। রাত সাড়ে আটটায় আমাকে প্রবেশ করতে বলা হলো। আমি বিশাল এক কক্ষে প্রবেশ করলাম। একটি সোফা ও দুটো চেয়ার সে কক্ষে।
মুজিব সোফার পুরোটায় নিজেকে বিস্তার করেছেন এবং দুইজন মোটা মন্ত্রী চেয়ার দু’টো দখল করে বসে আছেন। কেউ দাঁড়ালো না। কেঊই আমাকে অভ্যার্থনা জানালো না।কেউ আমার উপস্থিতিকে গ্রাহ্যও করলো না। মুজিব আমাকে বসতে বলার সৌজন্য প্রদর্শন না করা পর্যন্ত সুদীর্ঘক্ষণ নীরবতা বিরাজ করছিল।আমি সোফার ক্ষুদ্র প্রান্তে বসে টেপ রেকর্ডার খুলে প্রথম প্রশ্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু আমার সে সময়ও ছিল না।
মুজিব চিৎকার শুরু করে দিলেন,
“হ্যারি আপ,কুইক, আন্ডারষ্টান্ড? ওয়েষ্ট করার মত সময় আমার নাই। ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?..পাকিস্তানীরা ত্রিশ লক্ষ লোক হত্যা করেছে, ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?
আমি বললাম,মি. প্রাইম মিনিস্টার..। “মি. প্রাইম মিনিস্টার, গ্রেফতারের সময় কি আপনার উপর নির্যাতন করা হয়েছিল?”
“ম্যাডাম নো। তারা জানতো,ওতে কিছু হবে না। তারা আমার বৈশিষ্ট্য,আমার শক্তি,আমার সম্মান,আমার মূল্য,বীরত্ব সম্পর্কে জানতো,আন্ডারস্ট্যান্ড?”
“তা বুঝলাম। কিন্তু আপনি কি করে বুঝলেন যে তারা আপনাকে ফাঁসীতে ঝুলাবে? ফাঁসীতে ঝুঁলিয়ে কি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়?”
“নো নো ডেথ সেন্টেন্স?” এই পর্যায়ে তাকে দ্বিধাগ্রস্ত মনে হলো। এবং তিনি গল্প শুরু করলেন,
“আমি এটা জানতাম। কারণ ১৫ই ডিসেম্বর ওরা আমাকে কবর দেয়ার জন্য একটা গর্ত খনন করে”।
“কোথায় খনন করা হয়েছিল সেটা?”
“আমার সেলের ভিতর।”
“আপনার প্রতি কেমন আচরণ করা হয়েছে মি. প্রাইম মিনিস্টার?”
“আমাকে একটি নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছিল। এমনকি আমাকে সাক্ষাৎকারের অনুমতি দেয়া হতো না। সংবাদপত্র পাঠ করতে বা চিঠিপত্রও দেয়া হতো না, আন্ডারস্ট্যান্ড?”
“তাহলে আপনি কি করেছেন?”
“আমি অনেক চিন্তা করেছি।”
“আপনি কি পড়েছেন?”
“বই ও অন্যান্য জিনিস।”
“তাহলে আপনি কিছু পড়েছেন।”
“হ্যা কিছু পড়েছি।”
“কিন্তু আমার ধারণা হয়েছিল,আপনাকে কিছুই পড়তে দেয়া হয়নি। “
“ইউ মিস আন্ডারস্টুড।”
“..কি হলো যে শেষ পর্যন্ত ওরা আপনাকে ফাঁসীতে ঝুলানো না।”
“জেলার আমাকে সেল থেকে পলাতে সহায়তা করেছেন এবং তার বাড়ীতে আশ্রয় দিয়েছেন।”
“কেন,তিনি কি কোন নির্দেশ পেয়েছিলেন?
“আমি জানি না। এ ব্যাপারে তার সাথে আমি কোন কথা বলিনি এবং তিনিও আমার সাথে কথা কিছু বলেননি।”
“নীরবতা সত্ত্বেও কি আপনারা বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন।”
“হ্যাঁ,আমাদের মধ্যে বহু আলোচনা হয়েছে এবং তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, আমাকে সাহায্য করতে চান।”
“তাহলে আপনি তার সাথে কথা বলেছেন।”
“হ্যাঁ,আমি তার সাথে কথা বলেছি।”
“আমি ভেবেছিলাম,আপনি কারোই সাথে কথা বলেননি।”
“ইউ মিস আন্ডারস্টুড।”
... এরপর ১৮ই ডিসেম্বর হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি রাগে ফেটে পড়েন। নিচের অংশটি আমার টেপ থেকে নেয়া।
“ম্যাসাকার? হোয়াট ম্যাসাকার?”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাটি?”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে কোন ম্যাসাকার হয়নি। তুমি মিথ্যে বলছো।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার,আমি মিথ্যাবাদী নই। সেখানে আরো সাংবাদিক ও পনের হাজার লোকের সাথে আমি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি। আমি চাইলে আমি আপনাকে তার ছবিও দেখাবো। আমার পত্রিকায় সে ছবি প্রকাশিত হয়েছে।”
“মিথ্যাবাদী, ওরা মুক্তিবাহিনী নয়।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার,দয়া করে মিথ্যাবাদী শব্দটি আর উচ্চারণ করবেন না। তারা মুক্তিবাহিনী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আব্দুল কাদের সিদ্দিকী এবং তারা ইউনিফর্ম পরা ছিল।”
“তাহলে হয়তো ওরা রাজাকার ছিল যারা প্রতিরোধের বিরোধীতা করেছিল এবং কাদের সিদ্দিকী তাদের নির্মূল করতে বাধ্য হয়েছে।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার,..কেউই প্রতিরোধের বিরোধীতা করেনি। তারা ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। হাত পা বাঁধা থাকায় তারা নড়াচড়াও করতে পারছিল না।”
“মিথ্যেবাদী।”
“শেষ বারের মতো বলছি, আমাকে মিথ্যেবাদী বলার অনুমতি আপনাকে দেবো না।”
(ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরী,ওরিয়ানী ফালাসী অনুবাদে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু,ইত্তেফাক )।
এই হলো মুজিবের চরিত্র ও মানবতার মান। ঢাকা স্টেডিয়ামে হাতপা বাঁধা রাজাকারদের কাদের সিদ্দীকী ও তার সাথীরা হত্যা করল,বিদেশী পত্রিকায় সে খবর ছাপা হলো,বহু সাংবাদিকসহ বহু হাজার বাংলাদেশী সেটি দেখল,অথচ শেখ মুজিব সেটি বিশ্বাসই করতে চান না। এতবড় যুদ্ধাপরাধের ন্যায় সত্য ঘটনাকে তিনি মিথ্যা বলছেন। অপর দিকে যে পাকিস্তান সরকার তার গায়ে একটি আঁচড়ও না দিয়ে জেল থেকে ছেড়ে দিল তাদের বিরুদ্ধে বলছেন,তাকে নাকি তারা হত্যা ও হত্যা শেষে দাফন করার জন্য তাঁরই জেলের প্রকোষ্টে একটি কবর খোদাই করেছিল! অথচ তার কোন প্রমাণই নেই। কিন্তু সমস্যা হলো,সাধারণ বাংলাদেশীদের জন্য ইতিহাসের এ সত্য বিষয়গুলো জানার কোন পথই খোলা রাখা হয়নি। ইতিহাসের বই থেকে এসব সত্যগুলোকে পরিকল্পিত ভাবে লুকানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে কিছুই জানতে দেয়া হচ্ছে না।
collected
হাসিনা তো পুরাই শক !!
মখা
আলমগীর পাগল হয়ে যাওয়াতে তাকে ভর্তি করা হলো পাবনা মেন্টাল হসপিটালে ।
হাজার হলেও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! তাই শেখ হাসিনা তাকে দেখতে গেলেন ।
হাসিনাকে দেখেই মখার মাথা গেলো বিগড়ে ! সে রুমের সব কিছু আছড়ে ভেঙে চুরে একাকার করতে লাগলো । হাসিনার দিকে তেড়ে গেল মারতে !
প্রান বাচাতে হাসিনা দৌড়ে গেল কন্ট্রোল রুমে । গিয়েই ফোন করলো পাবনা জেলার পুলিশের এস আই কে ।
হাসিনা :- হ্যালো পুলিশ ষ্টেশন, আমি পাবনা ম্যান্টাল হসপিটাল থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছি -
পুলিশ:- হা হা হা ! সব পাগলই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবে !
হাসিনা :- জানেন আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -
পুলিশ:- জানি তুই একটা পাগল । তোকে ফোন করতে দিলো কে ? হা হা হা
এক দিকে বিপদ অন্য দিকে পুলিশ তার পরিচয় বিশ্বাস করছে না । কি যে করুন অবস্থা ! তাই হাসিনা একটু হার্ডলাইনে যেতে চাইলেন !
হাসিনা :- জানেন আমি কি করতে পারি? আমি আপনাকে দুই মিনিটে পুলিশ থেকে ছাটাই করতে পারি!
পুলিশ :- পাগলে কি না বলে ! আর ছাগলে কি না খায়! হা হা হা । ফোন রাখ পাগল । নইলে কানের মধ্যে একটা থাপ্পর দেব ।
হাসিনা তো পুরাই শক !!
collected
Few Questions
প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের আগের নাম কী ?
উত্তর: আওয়ামী মুসলিম লীগ।
প্রশ্ন: কোন দল ভেঙ্গে এটার তৈরী হয়েছিলো ?
উত্তর: মুসলিম লীগ।
প্রশ্ন: আওয়ামী লীগ কী ধর্ম নিরপেক্ষ দল ?
উত্তর: না। কারণ তাদের দলের একটি অংগ সংগঠন হচ্ছে 'আওয়ামী ওলামা লীগ'।
প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের জাতীয়তা দর্শন কী ?
উত্তর: বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ।
প্রশ্ন: 'আওয়ামী' শব্দটা কোন দেশের, কোন ভাষার ?
উত্তর: পাকিস্তানী উর্দু ভাষার শব্দ।
এরা তাহলে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ প্রচার করার আগে নিজেদের দলের নামটা বদল করে বাঙ্গালী করে না কেন ?
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা!
বাংলাদেশে
মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযাগ এনে হেগে অবস্থিত
আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা
দায়েরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। নিউ ইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস
এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের পক্ষে এ মামলার বাদী
হচ্ছেন ওয়াশিংটনের বাসিন্দা বেশ কয়েকজন পেশাজীবী বাংলাদেশী। মামলার সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ খবর
জানিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে এক
আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ মামলার বিস্তারিত জানাবেন সংশ্লিষ্ট
আইনজীবীরা। যুদ্ধাপরাধ মামলায় নিয়োজিত জামায়াতের বৃটিশ আইনজীবী টবি
ক্যাডম্যান গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে
তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পর দেশে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন ও পুলিশি অ্যাকশন এবং হেফাজতে ইসলামের অবস্থানে মধ্যরাতের অভিযানে অগণিত মানুষ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম, এনজিও, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট এবং বাংলাদেশে পুলিশের গুলিতে বিভিন্ন সময় নিহত জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের বিরুদ্ধে মধ্যরাতের অভিযানে বাংলাদেশের ‘অধিকার’ নামে একটি এনজিও কর্তৃক হত্যা বিষয়ে যে রিপোর্ট করা হয়েছে তাও প্রমাণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
জামায়াত কর্তৃক নিয়োগকৃত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার অন্যতম বিশেষজ্ঞ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অন্যতম আইনজীবী হিসেবে ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আইনজীবী মামলার যথার্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশের অন্যতম মুখপাত্র মাহতাব উদ্দীনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বিভিন্ন বাহিনী মানবাধিকারকে চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করছে। এর বাইরে মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর এক প্রতিবাদে রাস্তায় বেরিয়ে আসা জনতার ওপর বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক চালানো বেপরোয়া গুলিতে অগণিত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে গণতান্ত্রিক কোন সমাজে এভাবে মানুষ হত্যা কল্পনাও করা যায় না। বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী এটাকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন। একটি দেশের সরকারের হাতে তারই দেশের নিরস্ত্র শত শত মানুষ নিহত হলো। অথচ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নির্মূল করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে এ গণহত্যা চালিয়েছে।
এর বাইরে গত ৬ই মে দিবাগত রাতে হেফাজতের ঘুমন্ত নিরীহ কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকারি বাহিনী। সরকার বলছে কেউ মারা যায়নি। অথচ বিভিন্ন এনজিও এবং সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক গণহত্যার খবর বেরিয়েছে। এর বাইরে পুলিশ কর্তৃক বিরোধী নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং পঙ্গু করে দেয়ার অসংখ্য ভিডিও ও তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। সরকারি দলের সমর্থকদের হাতে বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে হত্যার ভিডিও সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
জানা গেছে, সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী ও পুলিশের কর্মকর্তাকে এ মামলায় আসামি করা হতে পারে। [মানবজমিন]
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পর দেশে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন ও পুলিশি অ্যাকশন এবং হেফাজতে ইসলামের অবস্থানে মধ্যরাতের অভিযানে অগণিত মানুষ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম, এনজিও, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট এবং বাংলাদেশে পুলিশের গুলিতে বিভিন্ন সময় নিহত জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের বিরুদ্ধে মধ্যরাতের অভিযানে বাংলাদেশের ‘অধিকার’ নামে একটি এনজিও কর্তৃক হত্যা বিষয়ে যে রিপোর্ট করা হয়েছে তাও প্রমাণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
জামায়াত কর্তৃক নিয়োগকৃত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার অন্যতম বিশেষজ্ঞ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অন্যতম আইনজীবী হিসেবে ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আইনজীবী মামলার যথার্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশের অন্যতম মুখপাত্র মাহতাব উদ্দীনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বিভিন্ন বাহিনী মানবাধিকারকে চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করছে। এর বাইরে মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর এক প্রতিবাদে রাস্তায় বেরিয়ে আসা জনতার ওপর বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক চালানো বেপরোয়া গুলিতে অগণিত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে গণতান্ত্রিক কোন সমাজে এভাবে মানুষ হত্যা কল্পনাও করা যায় না। বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী এটাকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন। একটি দেশের সরকারের হাতে তারই দেশের নিরস্ত্র শত শত মানুষ নিহত হলো। অথচ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নির্মূল করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে এ গণহত্যা চালিয়েছে।
এর বাইরে গত ৬ই মে দিবাগত রাতে হেফাজতের ঘুমন্ত নিরীহ কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকারি বাহিনী। সরকার বলছে কেউ মারা যায়নি। অথচ বিভিন্ন এনজিও এবং সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক গণহত্যার খবর বেরিয়েছে। এর বাইরে পুলিশ কর্তৃক বিরোধী নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং পঙ্গু করে দেয়ার অসংখ্য ভিডিও ও তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। সরকারি দলের সমর্থকদের হাতে বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে হত্যার ভিডিও সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
জানা গেছে, সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী ও পুলিশের কর্মকর্তাকে এ মামলায় আসামি করা হতে পারে। [মানবজমিন]
Monday, June 24, 2013
কেবল গাজীপুরের নির্বাচন নয়, জাহাঙ্গীর ডুবিয়ে দিয়েছে হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে!
হাসিনা খুব জোর গলায় প্রতিদিন বলছে,”আমার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমি ভোট চুরি করবো না।”
কিন্তু গাজীপুরের নির্বাচনে তিনি কি করলেন? উপজেলার নির্বাচিত ভাইস
চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে মেয়র প্রার্থী হলেন জনপ্রিয় নেতা জাহাঙ্গীর
আলম। আম্লীগ তাকে দলীয়ভাবে নমিনেশন দেয়নি। তাই তিনি হলেন বিদ্রোহী
প্রার্থী। জাহাঙ্গীরের নমিনেশন অবৈধভাবে বাতিল করে দেয়া হলো সরকারী ক্ষমতা
ব্যবহার করে। কোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেও ছাত্রলীগের গুন্ডা
লিয়াকত সিকদার গাজীপুর থেকে জাহাঙ্গীরকে অপহরন করে হাজির করে
প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এরপরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ঘোষণা করে- জাহাঙ্গীর
প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছে। ছয় দিন গুম করে রাখলো সরকার। জাহাঙ্গীরের
পরিবার নিরাপত্তাহীন- মা শয্যাশায়ী! বিএনপির মহাসচিব যখন প্রশ্ন করেন
জাহাঙ্গীর গুম কি না? চাপে পড়ে সরকার হাজির করে জাহাঙ্গীরকে!
মুক্তির শর্ত মোতাবেক জাহাঙ্গীর কেঁদে কেটে ৩৫ মিনিটব্যাপী বক্তব্যে
ভোটারদেরকে বলেন, তিনি নির্বাচন করবেন না....বিদেশে চলে যাবেন। এথেকে
পরিস্কার হলো, সামনে এই রকম ঘটনা আরো ঘটাবে হাসিনা। নতুন সিষ্টেম। পিছনে
বন্দুক রেখে জীবনের ভয় দিয়ে সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে সমর্খন জানানো!!
বেশ বেশ...এই না ক্ষমতা!
আমরা কি পেলাম? হাসিনা বলেছেন, তিনি ভোট
চুরি করবেন না। মানুষ বিশ্বাস করবে ক্যামতে? তবে এখন বোঝা গেলো ক্ষমতায়
থেকে তিনি আগামী নির্বচনে কি করবেন! তিনি ভোট চুরি করবেন না। কারন ভোটেরই
দরকার নাই। জাহাঙ্গীর কায়দায় তিনি বিরোধী দলের প্রার্থীকে শক্তি দিয়ে
গুম করবেন। কাউকে নির্বাচনে দাড়াতেই দিবেন না।
জাহাঙ্গীর। তুমি
বিদেশে চলে গিয়ে জীবন বাঁচাও। তোমাকে ধন্যবাদ। কারন, তুমি হাসিনাকে জাতির
সামনে ধরিয়ে দিলে - সে হলো প্রার্থী ক্যান্ডিডেট ছিনতাইকারী, গুমকারী।
এ জন্যই দরকার- তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
Collected / Qamrul Islam
Subscribe to:
Posts (Atom)
Free links website directory for webmasters.